This is really alarming! We must act now before it's too late and things are out of our hands! Please!
ভাই, কি করতেসেন আপনেরা?
আমি - ভাই। প্লাস্টিক কুড়াইতেসি!
কেনো? দরকার কি?
আমি - কি বলেন, দরকার নাই?
নাহ, এতো মাটির নিচে চলে যাবে, স্যাষ!
আমি - এগুলা তো মাটিতে মিশে যাবে না, সারাজীবন রয়ে যাবে! মাটির নিচে চলে গেলে শেষ
কীভাবে!
কী বলেন আপনে? এগুলা মিশবে না!?
আমি - অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর!
উপরের কথোপকথন কি আপনার কাছে সম্পূর্ণ মস্তিষ্কপ্রসূত মনে হচ্ছে? হলে অবশ্য আমি অবাক হবো না! আরে ভাই, আমি নিজে কথা বলেই বিশ্বাস করতে পারি নাই, আপনে লেখা পরে অবিশ্বাস করবেন, এতে আর আশ্চর্য কি!
তবে অবিশ্বাস করেন, না করেন, উপরের প্রতিটা কথা সত্য! এই একবিংশ শতাব্দীর প্রায় শেষার্ধে, মানুষ যখন বিনোদনের উদ্দেশ্যে মহাকাশে যাওয়া শুরু করছে, ঠিক তখন, বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপের একজন অধিবাসীর এই তথ্য আমাকে ক্ষণিকের জন্য রীতিমত স্তব্ধ করে দিয়েছিলো। উপরোক্ত এই একটি ঘটনাই আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, সচেতনতার, উপযুক্ত তথ্যের বড় অভাব।
প্রশ্ন আসতেই পারে, তবে সমাধান কি?
উত্তরটা আসলে ওই, সচেতনতাই! আমরা নিজেরা যতদিন পর্যন্ত সচেতন না হবো, এই অজ্ঞানতা অক্টোপাসের মতো আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রাখবেই।
মুলত, এই সচেতনতা তৈরির লক্ষেই, ট্রাভেলারস অফ বাংলাদেশ (টিওবি) - বাংলাদেশের ট্রাভেলারদের সবচাইতে বড় অনলাইনভিত্তিক কমিউনিটি, বাংলার নানান প্রান্তে, বিশেষ করে যেসবস্থানে সংখ্যায় বেশ ভালোরকম পর্যটক সমাগম ঘটে, সেসব জায়গায় চেষ্টা করে পরিবেশ রক্ষা এবং সচেতনতা সৃষ্টিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে। সম্পূর্ণ ব্যাক্তিগত উদ্যোগে আয়োজিত এবং পালিত এইসকল কর্মকাণ্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমারটিন থেকে প্লাস্টিক ও অপচনশীল দ্রব্য অপসারন এবং সেখানকার অধিবাসী এবং আগত পর্যটকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি।
টিওবি-এর এবারের যাত্রায় সঙ্গি হবার সুযোগ সহসাই এসে হাজির হয় এই অধম, আমার সামনে এবং কোনরকম দ্বিধা ছাড়াই যুক্ত হয়ে যাই আমি এই বিশাল কর্মযজ্ঞে! বাসে করে যখন ৪০ জনের এই বিশাল টিমের সাথে টেকনাফের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাই, তখনো আসলে বুঝতে পারি নি সামনের ৩টি দিন কি প্রচণ্ড মায়ায় বাঁধতে যাচ্ছে আমাকে একদল টগবগে তরুণতরুণীর সাথে, যাদের সবার মগজে একটাই মন্ত্র - “ভ্রমণ হোক দায়িত্বশীল ও পরিবেশবান্ধব”
জোয়ার ভাটার দোলাচলে পরে টেকনাফ থেকে কিঞ্চিত দেরিই হয়ে যায় সেন্ট মারটিন-এর উদ্দেশ্যে আমাদের ট্রলার যাত্রার! শীতের আগমনীর পূর্বের প্রচণ্ড সূর্যের তাপে রীতিমত কাহিল আমরা যখন পৌছাই, সূর্যি মামা তখন ডুবিডুবি করছে! একটু হলেও সবাইকে বিষণ্ণতা ছুয়ে যায়, কারণ পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী আজকেই কার্যক্রম শুরু করার কথা!
ট্রলার থেকে নেমে আমরা আমাদের ক্যাম্পিং সাইটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। এখানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই হয় আমাদের থাকার ব্যাবস্থা করে দেয়া মেজর রানা ভাইকে। উনি আমাদের থাকার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে আমাদের সহযোগিতা না করলে আসলেই খুব সমস্যায় পরে যেতাম। এছাড়াও এমন একটি সময়োপযোগী কর্মকাণ্ডে আমাদের পাশে থেকে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি -
টেকনাফ ইউ এন ও পারভেজ চৌধুরী,
আলমগীর মোঃ ফারুকী, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কক্সবাজার৷
মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, কক্সবাজার।
মোঃ নিজাম উদ্দীন, ইউ এন ও, উখিয়া, কক্সবাজার।
মুনতাসির রাসেল, আইন কর্মকর্তা, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
নানান চিন্তা মাথায় নিয়ে, দীর্ঘ ট্রলারযাত্রার ক্লান্তি ধুয়ে-মুছে, নির্ধারিত ক্যাম্প সাইটে তাবু বিছিয়ে যখন গ্রুপ আলোচনায় যোগ দিলাম, সবাই তখন ভাবনায় মশগুল, কিভাবে হারানো সেশনটা পুষিয়ে নেয়া যায়। সবার মনের ইচ্ছা বুঝতে পেরেই কিনা কে জানে, প্রস্তাবনা রাখা হল, রাতে কেন আমরা শুরু করি না? কিসের এক সম্মোহনী মায়ায় যেন একইসাথে টিমের সবাই একবাক্যে সমর্থন দিয়ে উঠলো! একেই বোধহয় বলে ‘টিম স্পিরিট’!
আর বেশি সময়ক্ষেপণ না করে সবাই টিম লিডারদের দিকনির্দেশনায় প্লাস্টিক এবং অনান্যা অপচনশিল দ্রব্য বহনের জন্য বস্তা, হাতে গ্লাভস নিয়ে শুরু করে দেই ‘নন-বায়োডিগ্রেডেবল ওয়েইস্ট’ বা পরিবেশের খুনি, অপচনশিল দ্রব্য সংগ্রহে। আমরা যেহেতু দ্বীপের দক্ষিন অংশে ছিলাম, তাই ওখান থেকেই আমরা কার্যক্রম শুরু করি জেটির উদ্দেশ্যে। যেহেতু আলোর স্বল্পতা, তাই বাধাধরা কোন লক্ষ্য না রেখে সিধান্ত হয় পথিমধ্যে যে যতটুকু পারি, বর্জ্য সংগ্রহের। একজনের হাতে বস্তা, সাথে দুইজনের টর্চ বা মোবাইলের আলোয় প্লাস্টিক খুজে বের করবার প্রয়াস - দেখবার মত এক দৃশ্য বটে! তবে যেভাবে সবার বস্তাগুলো অল্প সময়েই ভরে যাচ্ছিলো, তা বেদনাদায়ক! এতো প্লাস্টিক! কীভাবে শ্বাস নেবে এই দ্বিপ! প্রায় ৩ ঘন্টা পরে, মোটামুটি সবাই যখন তাদের বস্তাগুলো জেটিঘাটে একত্র করলাম, অবাক হবার শুরু আসলে তখনি! এই অন্ধকারের মধ্যেই, এই অল্প সময়ে ২৫ বস্তা বর্জ্য আমাদের সামনে!
জেটি থেকে ক্যাম্প সাইটে ফিরে রাতে খাবার শেষ করেই সবাই ঘুমানোর তোরজোড় শুরু করে দিলাম। একেতো দীর্ঘ, রোদে পোড়া সমুদ্র যাত্রা, সাথে রাতের ময়লা কুড়ানোর সেশন-সবাইকে একটু ক্লান্ততো করেছেই। এছাড়া আগামীকাল সকালসকাল শুরু হবে মুল কর্মযজ্ঞ, তার জন্য জিরিয়ে নেবার বিকল্প কিছু নেই! সবার গানেগল্পে কখন যে নিদ্রাদেবি হাজির হলেন, বুঝে ওঠার আগেই ঘুমের অতল রাজ্যে হারিয়ে গেলাম।
পরদিন বেশসকালেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। তাবু থেকে বেরিয়েই দেখি আমি কি সকালে উঠলাম, আমার আগেই সবাই উঠে গান ধরেছে - ‘আমি হবো সকাল বেলার পাখি, সবার আগে কুসুম বাগে উঠব আমি ডাকি’।
নাস্তা করেই সবাই পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রুপ হয়ে দ্বীপের একেকদিকে চলে গেলাম। সমুদ্রের পাড় ধরে হেটে হেটে সবাই ব্যাস্ত হয়ে পরলো আসল কাজে। মাথা তুলে যে একটু সমুদ্রের সৌন্দর্য অবলোকন করবো, সেই সুযোগ নেই। মাটি থেকে চোখ তুলবার যো নেই। যেদিকে তাকাই, সেদিকেই কোন না কোন প্লাস্টিক! এবং দেখতে দেখতেই, একটা একটা করে ভরে উঠছে আমাদের ময়লার বস্তা! এভাবে চলতে চলতে কখন যে বেলা ফুরিয়ে এলো, আমরা টেরই পাইনি। সবাই যখন আস্তে আস্তে জেটি ঘাটে ফিরে এলাম, সব মিলিয়ে মোট বস্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় শতাধিক! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি! সবাইকে এই তথ্য জানাতে খারাপ লাগছে, কিন্তু উপায় কি, আমাদের সচেতনতার জন্য এ জানা যে খুব জরুরি!
সন্ধ্যায় চা-নাস্তা করে সেদিনের মত ক্ষান্ত দিয়ে সবাই ফিরে এলাম আমাদের ক্যাম্পিং সাইটে। সারাদিনের অমানুষিক পরিশ্রমের পর সবাই কি করে - তা দেখার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে থাকা আমার এবার আবার অবাক হবার পালা! কিসের ক্লান্তি, কিসের কি! সবাই টেলিস্কপ নিয়ে সমুদ্র পাড়ে বসে গেছে, আকাশ ভরা তারা দেখবে বলে! এই উদ্যমী জনগনকে দেখে, মনে মনে মুচকি হেসে একপাশে বসে আমি উপভোগ করতে থাকলাম সবার আনন্দ।
ঘন্টাখানেক পরেই সংবাদ এসে হাজির, আমাদের রাতের খাবার তৈরি এবং তখনি যেভাবে পেট মহাশয় নড়েচড়ে উঠলেন, খাবারের এ সংবাদ কানে না ঢুকে বোধ হল পেটেই প্রবেশ করেছে! আজ রাতের মেন্যু ছিল দৈত্যাকার কোরাল মাছ! বাবুর্চির রন্ধনশিল্পের পটুতার গুনে ভীষণ সুস্বাদু এই মাছ যেন অমৃত হয়ে আপ্যায়িত হল আমাদের দ্বারা। সবাই চেটেপুটে পরোটা দিয়ে বারবিকিউ খেয়ে বসে গেলাম আগামিকাল, আমাদের শেষদিনের পরিকল্পনা সাজাতে। ঠিক হল আগামিকাল খুব সকালেই একদল চলে যাবে ছেড়াদ্বিপ থেকে বর্জ্য সংগ্রহে এবং আরেকদল হাত লাগাবে প্রতীকী এক সাম্পান তৈরিতে, যা স্থাপিত হবে জেটিঘাটের পাশে। আমাদের অনেক আশা, একটু হলেও, একজন হলেও সাম্পানের আদলে তৈরি ময়লা ফেলার ঝুরি দেখে উদ্বুদ্ধ হবে সঠিক কাজটি করার জন্য - উপযুক্ত জায়গায় ময়লা/প্লাস্টিক/অপচনশিল দ্রব্য ফেলা।
হইহুল্লোর করে সবাই আজকের দিনের সমাপ্তি টেনে ঘুমুতে চলে গেলাম। ছেড়াদ্বিপে ময়লা/প্লাস্টিক/অপচনশিল দ্রব্য এলারমিংলি বেশি, কাল আমাদের পরিশ্রমও তাই বেশি, হাতে আবার সময়ও কম কারণ আগামীকালকেই দুপুরের মধ্যে ফিরতি পথের যাত্রা শুরু। কিভাবে কি করবো ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।
পরদিন সকালে যথারীতি সবাই ঘুম থেকে উঠে তৈরি এবং পদব্রজে যাত্রা শুরু - উদ্দেশ্য ছেড়া দ্বীপ! ছেড়াদ্বীপের তিনটি অংশ, দুইপাশ ধরে পরিষ্কার করে আমরা এগিয়ে যেতে থাকলাম। শীতের শুরুতে রোদের প্রচন্ড তাপ উপেক্ষা করে সবাই একটা একটা করে প্রায় অর্ধশত বস্তা ময়লা/প্লাস্টিক/অপচনশিল দ্রব্য জমিয়ে ফেললো। শুনতে অবাক লাগলেও মনে হল আসলে আমরা কিছুই বোধহয় তুলে পারি নি, এতোটাই বর্জ্য দিয়ে ভরিয়ে রাখা এই নয়নাভিরাম দ্বীপ। ইতোমধ্যেই অনেক দেরি হয়ে গেছে, এখনি যদি আমরা সঠিক পদক্ষেপ না নেই, আর কয়েকদিন পর বলার মত কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। ছেড়াদ্বিপের চারপাশে মৃত, পাথরে পরিণত হওয়া প্রবালগুলো ঠিক তাই যেন আমাদের মনে করিয়ে দিলো।
আমাদের টিমের কয়েকজনকে ছেরাদ্বিপে ময়লা ট্রলারে তুলে দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে আমাদের কয়েকজন ফিরে এলাম মুল দ্বিপে, আমার ক্যাম্প সাইটে। এখানে প্রতীকী ডাস্টবিন ইতোমধ্যে বানানো শেষ করে আমাদের আরেকটি গ্রুপ আমাদের অপেক্ষায় ছিল। আমরা জানি, আমাদের এই কর্মকাণ্ড কোন পার্মানেন্ট সলিউশন না। আমরা শুধু চেয়েছি, আসছে সীজনের টুরিস্টদের কাছে একটা আকুতি পৌছাতে, দ্বীপের যেখানে সেখানে বা সমুদ্রে প্লাস্টিক বা অপনশীল জিনিস ফেলা থেকে আমাদের বিরত থাকতেই হবে। একটা নির্দিষ্ঠ জায়গায় ফেললে তা হয়ত সংগ্রহ করা সহজ হবে।
একই সাথে হোটেল মালিক এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বলতে চেয়েছি, দ্বীপে প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট করা অতীব জরুরি৷ পুরো দ্বীপটাকে আক্ষরিক অর্থেই ডাস্টবিন না বানিয়ে সবাই মিলে উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেয়া এবং অপচনশীল আবর্জনা মেইনল্যান্ডে ফেরত নেয়া এই দ্বিপটাকে এবং আপনাদের বাঁচতে সাহায্য করবে৷
ক্যাম্পিং সাইটে আমরা এসে পৌছাতেই সবাই একসাথে বিগত দুদিনের সংসার গোছানোর পালা শুরু করে দিলো। দুপুরের খাবার খেয়েই রওনা দেয়া হবে জেটিঘাটে, যেখানে এই বস্তা-বস্তা ময়লা তুলতে হবে ট্রলারে - চাট্টিখানি কথা নয়!
টেকনাফ থেকে পরবর্তীতে এই বর্জ্যের ঠিকানা হয় জায়েদ খান খালেদ ভাইয়ের ঢাকার অদূরে অবস্থিত কায়াকিং ও ক্যাম্পিং সাইটে। মূলত তিনি এসব প্লাস্টিক তার ক্যাম্পসাইটে নিয়ে একটি ভাসমান বার্জ বানাতে ইচ্ছা পোষণ করেন এবং টিওবির সদস্যরা তার এই উদ্যোগকে সাদরে গ্রহণ করেন।
দিনের শেষে সব মিলিয়ে এবার ময়লা/প্লাস্টিক/অপচনশিল দ্রব্য-এর বস্তার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১২২-এ! ৪০ জন সেচ্ছাসেবক-এর অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলার একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেইন্টমার্টিন এবং ছেড়াদ্বিপ থেকে ৭৪০ কেজি ময়লা/প্লাস্টিক/অপচনশিল দ্রব্য কুড়ানো হয়। ২০১৯ সালেও টিওবি ৫৫৫ কেজি ময়লা/প্লাস্টিক/অপচনশিল দ্রব্য দ্বীপ থেকে মেইনল্যান্ডে এনে রিসাইকেল এর ব্যাবস্থা করে যা এবার এসে দাড়ায় ৭৪০ কেজিতে।
ভাবতে পারেন - ৭৪০ কেজি অপচনশিল দ্রব্য! আতঙ্কিত হচ্ছেন - আতঙ্কিত হবার মতই ব্যাপার! উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে, বিপদ দরজার ওপাশেই, ভারি নিঃশ্বাস ফেলছে। নিঃশ্বাস-এর শব্দ শুনতে পান কি?
Comments
Post a Comment